স্বাভাবিকভাবে এপ্রিল মাসে কালবৈশাখী ও বৃষ্টিপাতের দাপট থাকে। তবে এবার আগেথেকেই চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, এ মাসে দেশে স্বাভাবিক অপেক্ষা কম বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও চলতি এপ্রিলে দেশে বিক্ষিপ্তভাবে শিলাসহ ৫-৭ দিন হালকা অথবা মাঝারি এবং ১-৩ দিন তীব্র কালবৈশাখী ঝড়সহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে ১-২টি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এই অবস্থায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিনে স্বস্তির বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঈদের দিনে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, ঈদের দিন সকাল ৯টা পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে এই সময়ে চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে।
আর এই সময়ে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। অন্যদিকে, ঈদের পরদিন শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
পাশাপাশি এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া ঈদের তৃতীয় দিন শনিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সেই সঙ্গে এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এছাড়া আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।